সর্বশেষ

3/recent/ticker-posts

Click for Earn

ময়মংসিংহ হালুয়াঘাটে বন্যায় ৮ম দিনেও পানিবন্দী ৪০ হাজর মানুষ

 

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বন্যা পরিস্থিতি আজ অষ্টম দিনে পড়েছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নড়াইল, বিলডোরা এবং শাকুয়াই ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় এখনও পানি জমে আছে। এছাড়া কৈচাপুর, ধুরাইল, আমতৈল ও স্বদেশী ইউনিয়নের কিছু কিছু জায়গায়ও কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ধুরাইল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল, যেমন নয়পাড়া, বনপাড়া, ঝাউগরা, রামনগর, কন্যাপাড়া, ডুবারপাড়, চরগোকপুর ও মোকামিয়ার বাসিন্দারা চরম সংকটে পড়েছেন।

হালুয়াঘাটের পূর্ব ও দক্ষিণাংশের খন্দকাপাড়া, পূর্ব কালিয়ানিকান্দা, কাওয়ালীজান, উত্তর ও দক্ষিণ গোপীনগর, মহাজনীকান্দা, বটগাইচ্ছাকান্দা, বাদশা বাজার, খরমা, বাদে খরমা, খামারবাসা, আলিশাহ বাজার, বোর্ড বাজার, চায়নামোড়, আতুয়াজঙ্গল, জৈনাটি, দারিয়াকান্দা, পলাশকান্দা, জামবিল ও আশেপাশের গ্রামগুলোর বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।

হালুয়াঘাট উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ৪নং সদর ইউনিয়ন, ১নং ভুবনকুড়া ইউনিয়ন, ২নং জুগলী ইউনিয়ন এবং ৫নং গাজীরভিটা ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতিতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবুও পানিবন্দী মানুষের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়ে গেছে।

কৈচাপুর, ধারা, ধুরাইল, স্বদেশী, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই এবং হালুয়াঘাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। রাস্তাঘাট, মাঠ এবং বাড়ির আশপাশে পানি জমে আছে। স্কুল, মাদ্রাসা ও ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, এবং রান্নার কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
 
সূত্র: our islam 24

Post a Comment

0 Comments