সর্বশেষ

3/recent/ticker-posts

Click for Earn

দশ মুহাররম: আমাদের করণীয় ও বর্জণীয়


অধ্য রোজ শুক্রবার পবিত্র আশুরা
আশুরা মানেই কি কারবালা


আমরা মুহাররাম মানেই কারবালা মনে করি থাকি; যার ফলে
নিজেদের অজান্তেই অনেক কুসংস্কার আমরা পালন করি থাকি।
যেমন-শোক পালন, তাজিয়া মিছিল বের করা, হায় হুসাইন হায় হুসাইন বলে মাতম করা, শরিরে আঘাত করা ইত্যাদি।
অতচ  শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।সুতরাং আশুরার মূল্যায়ন ঐভাবে করতে হবে,যেভাবে রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- করেছেন।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত

এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘রমযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা হল সর্বশ্রেষ্ঠ।’

أفضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم   
-সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১৫৭
এর মধ্যে আশুরার রোযার ফযীলত আরও বেশি।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি
অন্য সময় তা দেখিনি।’
ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم  يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني رمضان
-সহীহ বুখারী ১/২১৮
হযরত আলী রা.কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল,
রমযানের পর আর কোন মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোযা রাখার আদেশ করেন?
তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক সাহাবী করেছিলেন,
তখন আমি তাঁর খেদমতে উপসি'ত ছিলাম।
উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
‘রমযানের পর যদি তুমি রোযা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ।
কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে,
যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন
এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’-জামে তিরমিযী ১/১৫৭
অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা
অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله
-সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮
এ দিনের কিছু মহত্বপূর্ণ ঘটনা:
  • এ দিনে আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবী সৃষ্ঠি করেছেন।
  • এ দিনে আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবী সৃষ্ঠি করেছেন। অর্থাৎ পৃথিবীর জন্ম হলো ১০ই মুহাররম।
  • বাবা আদম আঃ কে সৃষ্ঠি করা হয়েছে এ দিনে।
  • হযরত আদম আঃ কে এ দিনে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এ দিনে।
  • হযরত আদম আঃ এ ধরাধমে প্রেরিত হওয়ার পর এ দিনেই তাঁর তাওবা কবুল হয়।
  • জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আঃ এর জন্মদিন।
  • নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর মুক্তি লাভ।
  • এ দিনেই হযরত মুছা আঃ তূর পাহাড়ে আল্লাহ তা’য়ালার সাথে কথোপকথন করেন ও তাওরাত লাভ করেন।
  • ফেরআউন ও তার দলবল লোহিত সাগরে নিমিজ্জত হয়।
  • হযরত ঈসা আঃ এর জন্মদিন।
  • নূহ আঃ ও তাঁর সাথি-সঙ্গিরা মহাপ্লাবন হতে মুক্তি লাভ।
  • হযরত আয়্যূব আঃ এর রোগ মুক্তি ও পুনঃরায় ধনসম্পদ লাভ।
  •  হযরত সুলাইমান আঃ এর পুনরায়  রাজত্ব লাভ।
  • হযরত দাঊদ আঃ এর হাতে জালিম বাদশাহ জালুত নিহত হয়।
  • ইয়াকুব আঃ হযরত ইউসূফ আঃ কে ফিরে পান।
  • মাছের পেঠ হতে হযরত ইউনুস আঃ এর মুক্তি লাভ।
  • আসমান হতে সর্বপ্রথম বৃষ্টিপাতের সূচনা হয়।
  • হযরত হুসাইন রাঃ শাহাদত বরণ করেন।
  •  এ দিনেই হযরত ঈসরাইল আঃ সিংগার ফুৎকারে ক্বিয়ামত সংঘঠিত হবে।

(তত্ত্বসূত্র: মাসিক আলকাউসার,বয়ানও খুতবা/১,দৈনিক সংগ্রাম।)




লেখক:আবু আব্দুল্লাহ ক্বাসেমী


Post a Comment

0 Comments