গেল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে ভারত স্বীকার করেছে যে,তালেবান আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দখল করেছে। একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিয়েছে।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নতুন সরকার তৈরির ঘোষণা করে তালেবান। ইতিমধ্যেই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে কাতার, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে অধিকাংশ দেশই এখনও সেই পথে হাঁটেনি। ভারত আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। সে দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য দিল্লির কাছে।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের বেরোতে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে তালেবানকে, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এরই পাশাপাশি যে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন তাদেরও সেই সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।
সূত্র মারফত ভারতীয় মিডিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, গত সপ্তাহে তালেবান সরকারের ঘোষণার পর থেকে লাগাতার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দিল্লি। একটানা কয়েকদিন আলোচনার পরে শুধুমাত্র একটি দেশের ক্ষমতাসীন শক্তি হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি ভারতের।
এদিকে, আফগানিস্তানের সনদে তালেবানের বসার বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরে। তালেবানের উত্থানের ফলে ভারতের অনুপ্রবেশের ঘটনা আরও বাড়তে পারে, মূলত প্রভাবিত হতে পারে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত। তাই সেই বিষয়েও নজরদারি বাড়াতে ভারতীয় স্থল বাহিনীর কয়েকটি বিভাগকে এই বিষয়ে কৌশল আরও মজবুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-এটি
0 Comments